আপনার অজান্তেই ব্যাক্তিগত বা গোপন কথা রেকর্ড করছে আপনার মোবাইল।সাবধান।

Ohid Tarafdar
বাংলায় একটা কথা প্রচলন আছে যে, দেওয়ালেরও কিন্তু কান আছে। কিন্তু আদৌ কি দেওয়ালের কান আছে ? দেওয়াল কি আমাদের কথা শুনতে পায়? তবে দেওয়াল শুনতে পাক বা না পাক , আপনার মোবাইল কিন্তু সবই শুনছে আপনার কথাবার্তা।


হ্যা ঠিকই শুনেছেন। আপনাদের অজান্তেই গোপনে আপনার সমস্ত কথাবার্তা বা পাশের মানুষটির সাথে কোনো কথা বা আলোচনা,সবই রেকর্ড করছে আপনার পাশে বা হাতে থাকা মোবাইলটি।

এই মুহূর্তে আপনার গোপনীয়তা বা প্রাইভেসি নিয়ে উঠছে বড়ো প্রশ্ন।আদৌ কি আমাদের গোপন কথোপকথন বা কার্যকলাপ গোপনই থেকে যায়?নাকি সেগুলি চলে যাচ্ছে অন্যের হতে? চিন্তায় পড়ে গেলেন তাই তো?যে কিভাবে সম্ভব সামান্য ফোনের মাধ্যমে এমন কিছু হওয়া?

এমনকি আপনার হাতে থাকা বা পাশে পড়ে থাকা ফোন টি বন্ধ থাকলেও শুনতে পাচ্ছে আপনার কথা।এটা কিভাবে বুঝবেন?এটাই তো ভাবছেন?আচ্ছা আজই আপনি নিজে একটা পরীক্ষা করে ফেলুন নিজের ফোনের মাধ্যমেই।

আমার সঙ্গে প্রতিনিয়ত ঘটছে এমন ঘটনা।এই তো গতকাল আমি ফার্মেসিতে বসে আলোচনা করছিলাম বিভিন্ন ওষুধের ব্যাপারে।এবং ঠিক তার পর থেকেই গুগল সার্চে এমনকি ইউটিউব সার্চে ঔষধ সংক্রান্ত ভিডিও এবং বিভিন্ন ঔষধ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন আসতে শুরু করলো ঝুড়ি ঝুড়ি।এমন অনেক ঘটনা আছে।


এতদিন আমরা জানতাম যে, গুগল বা ইউটিউবে আমরা যদি কোনো বিষয়ে সার্চ করি,তবেই সেই সংক্রান্ত ভিডিও বা এডভার্টাইসমেন্ট গুলো আমাদের মোবাইলে বারবার আসে।কিন্তু এখন প্রযুক্তি অনেক উন্নত হয়েছে।আপনি যখনই কোনো বিষয়ে কথা বলছেন পাশের লোকের সাথে,দেখবেন সেই সংক্রান্ত ভিডিও বা যদি কোনো অনলাইন প্রোডাক্ট সম্পর্কে কথা বলছেন,সেই প্রোডাক্ট গুলির এডভার্টাইজমেন্ট ইউটিউবে বা গুগলে অটোমেটিক চলে আসছে।

এক্ষেত্রে গুগল একটি বড়ো ভূমিকা পালন করছে।গুগল আপনার কথাগুলো শুনছে এবং সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন বা ভিডিও আপনার ফোনে পাঠাচ্ছে, যাতে আপনারা সেগুলোতে ক্লিক করেন এবং সেই প্রোডাক্টগুলো কিনতে আগ্রহী হন। এক্ষেত্রে ফায়দা হল গুগল কোম্পানি এবং সেই প্রোডাক্ট কোম্পানিগুলোর।

বড় বড় কোম্পানিগুলো তারা নিজেদের ফায়দার জন্য এই প্রযুক্তি গুলো আনছে।কিন্তু তারা নিজেদের সুবিধা করতে করতে গিয়ে, কোথাও না কোথাও এরা আমাদের মত অনেক সাধারণ মানুষের গোপনীয় বিষয় গুলো চুরি করছে না তো?

নিশ্চিতভাবে আপনি এখন এটা নিয়ে চিন্তা করছেন তাই তো?শুধু আমি বা আপনি বলে নয়,গোটা ভারত তথা বিশ্বের সমস্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের সাথে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে এমন ঘটনা।যদি এমনটাই হয়ে থাকে,তাহলে তা আমার আপনার গোপনীয়তা নিয়ে উঠছে বড়ো প্রশ্ন।

এই AI বা Artificial Intelligence প্রযুক্তি বর্তমানে যেখানে দাঁড়িয়ে আছে,বা ভবিষ্যতে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে,সেটা মানুষের উন্নতি না ধ্বংসের কারণ হবে,সেটা আজও বলতে পারছে না বিশেষজ্ঞরা।

এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে যে,আপনার মোবাইলের 'গুগল অ্যাসিস্ট্যান্স' এর মত অ্যাপ্লিকেশন গুলি আমার আপনার কথা গুলো রেকর্ড করছে। 

সুতরাং এরপর থেকে আর এমনটা ভাববেন না যে আপনার ঘরের দেওয়াল আপনার কথা শুনতে পারুক বা না পারুক,আপনার হাতের মোবাইলটি কিন্তু অবশ্যই শুনছে আপনার কথা।

এতদিন পর্যন্ত কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসার ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়েছে এই প্রযুক্তি।কিন্তু এখন তারা সেটাকে ব্যাবসার ক্ষেত্রে কাজে লাগাচ্ছে অন্যরকম ভাবে।আগামীদিনে এটাকে কোন ভাবে কাজে লাগানো হবে, তা আমরা কেও জানিনা।
Tags

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)